প্যাসিভ ইনকাম কি? | ব্লগিং প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া ২০২৪

প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম বলতে আমরা জানি অনলাইনে এমন একটা কাজ করে রাখা যার ফলে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ও টাকা আর্ন করা যাবে। কথা টি হাস্যকর মনে হলেও এটাই সত্যি যে প্যাসিভ ইনকাম একবার স্টাট করতে পারলে এরপরে কোনো কাজ না করলে একটা ছোট কিংবা বড় ডিজিটের এমাউন্ট এমনি এমনি ব্যংক একাউন্টে আসতেই থাকবে।

ব্লগিং প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়া ২০২৪

আমি আছি আপনাদের সাথে মোঃ হৃদয় যে কিনা ২০১৫ সাল থেকেই প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করার স্বপ্নে বিভোর ছিলো তারপরে সফল ও হয়েছিলো। আমার জীবনের সেই অভিঙ্গতা থেকেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করবো যার ফলে নতুনরা অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার সঠিক রাস্তাটির সন্ধান পাবে।

আমি একটি ওয়েবসাইট তৈরী করবো এই চিন্তাটি আসে যখন সিম্পোনি ডি বায়ান্নো নামে একটি বাটন ফোন দিয়ে ফেসবুক ব্রাউজ করি। এরপরে আরো বেশী আগ্রহী হই যখন মাইক্রোম্যাক্স এক্স জিরো অস্টোআশি ফোনটি চালাই, আমার এখনো দিব্যি মনে আছে আমরা দুই বন্ধু একই সঙ্গে ২টা ফোন কিনি এরপরে সেইটা দিয়ে নেট ব্রাউজ করি।

 ওইসময় রবি সিমে রবিবার দিনে একটা অফার ছিলো যে ১০ টাকায় ১০০ মেগাবাইট একদিনের জন্য। তখন এই ১০০ এমবি শেষ করতে অনেক সময় লাগতো প্রায় ১টা দিনই ফোনের সাথে যুদ্ধ করে শেষ করতে হতো। যাহোক আগে মানে তখন ভাবতাম এইযে ১০ টাকায় ১০০ এমবি কিনলাম আর যে সাইটে প্রবেশ করে গান বা গল্প পড়ছি এই এমবি গুলোর টাকা ওইসব ওয়েবসাটের মালিকেরাই পাবে। তাই আমিও একটা ওয়েবসাইট বানিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করবো এই ছিলো ভাবনা।

এরপরে সিম্ফনি e76 মডেলের একটা স্মাট ফোন কিনি ৪,০০০ টাকা দিয়ে। তখন ২০১৫ সালের শেষের দিকে ক্লাস নাইনে পড়ি এই সময়ে ট্রিকবিডিতে ওয়াপকা দিয়ে ডাউনলোড এবং ফোরাম সাইট বানানোর ধারাবাহিক পোস্ট দেখি তখন ওইগুলো ফলো করে বহুত সাইট বানাই এবং এছাড়াও ফ্রি 000webhost, WordPress.org দিয়েও ফ্রিতে অনেক ওয়েবসাইট বানাই। আমি জীবনে কতো যে ওয়েবসাইট তৈরী করেছি তার হিসেবে আমার জানা নেই। এরপরে ওয়াপকা বন্ধ হয়ে যায় এবং আসে ওয়াপকিজ এটা ও বন্ধ হয়ে যায় এরপরে সবাই গুগলের ব্লগার দিয়ে ওয়েবসাইট বানায় আমিও বাকি রইলাম না এটি দিয়ে অনেক সাইট বানালাম এরপরে আমার আগ্রহ দেখে নিশান আহমেদ নিয়ন ভাই ১,০০০ টাকা দেয় ডট কম ডোমেইন কেনার জন্য এরপরে আলফানেট থেকে ক্রয় করি কিন্তু তাদের সাপোর্ট ভালো না থাকায় ডোমেইনটি সেটাপ করতে ব্যার্থ হই।

প্যাসিভ ইনকাম কি?

এরপরে মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিসরাহ হোস্ট থেকে কয়েকটি ডোমেইন নিয়ে ব্লগারে যুক্ত করে কাজ করি রেগুলার এবং কয়েকটি সাইটে এডসেন্স এপ্রুভাল পাই কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারনে এডস লিমিট খাই সবকয়টায়ই। এরপরে আবার নতুন ২টা সাইট বানাই এবং এডস লাইভ করি বাবার বকা ঝকা সারাদিন সুযোগ পেলেই মোবাইলের দিকে তাকিয়ে কেন থাকি? তিনি ভাবছিলেন খারাপ কিছু দেখি এরপরে পিন ভেরিফায়েড এডস লাইভ Website ২টি মাত্র ২০,০০০ টাকায় আনসার আলী লোডারের কাছে সেল করে দেই।

এর একবছর পরে একটা সিঙ্গেল নিশে সাইট করি এবং একবছর রেগুলার কাজ করার পরে সফল হই এরপরে প্রতিমাসে ১০-২০ টাকা আমার ইনকাম হয় সাইটটি দিয়ে এরপরে হঠাৎ একদিন এডসেন্সে ক্লিক কাউন্ট হয়না এবং ইনকাম পুরোপুরি বন্ধ। এরপরে গুগল হেল্পফুল আপডেট সাইটটি হিট খায় এবং পুরোপুরি ডেড হয়ে যায়। একটা কথা বলে রাখি আমি কোনো কপি পেস্ট করতাম না সম্পুর্ন হিউম্যান রাইটিং আর্টিকেল ছিলো।

যাহোক সব ভুলে আবার ২টি সাইট রান করালাম কিন্তু রিছেন্টলি কোর ও স্পাম আপডেট ট্রাফিক জিরো করে দিয়েছে, শুধু আমার নয় প্রায় 70% ব্লগই। যাহোক আমি মনে করি ব্লগিং করে প্যাসিভ আর্নিং জেনারেট করা অসম্ভব। আপনি যতই সততা দিয়ে কন্টেন্ট তৈরি করেননা কেন, আপডেটে আপনার সাইট ক্ষনস্থায়ী। যাহোক একটা কথাই বলবো পরিশেষে ব্লগিং এখন আর আগের মতো নেই এখন অনেক হার্ড হয়ে গেছে এবং খুবই রিস্কি হয়ে গেছে।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu