১০+ মোবাইল ফোন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। আশাকরি এই পোস্ট টি আপনারা সবাই মনোযোগ দিয়ে পড়বেন, এতে আপনরা অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
১। চোখের জ্যোতি কমে যায়
মার্কিন ম্যাকিউলার ডিজেনারেশন অ্যাসোসিয়েশন এর ভাষ্যেমতে, মোবাইলের ডিসপ্লের নীলাভ আলো চোখের রেটিনার দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির মাধ্যমে অন্ধত্বের কারন হতে দেখা যায় ৯০% এর ক্ষেত্রেই।
বিশেষঙ্গদের মতে দীর্ঘতম সময় মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের দৃষ্টি শক্তি অনেক দ্রুত হ্রাস পায়। মোবাইল দীর্ঘ সময় ব্যবহারের কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো যদি আপনি মেনে চলেন তাহলে আপনার চোখকে ৯৮% সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। নিয়মগুলো আমি সংক্ষেপে বলে দিচ্ছিঃ
(১) ব্লুকাট চশমা, এই ধরনের চশমা পাওয়ার জন্য আপনাকে নিকটস্থ একটু চশমার দোকানে যেতে হবে এরপর সেখানে ব্লুকাট চশমা বললেই তারা বুঝবে। আপনাকে সচেতনতার সঙ্গে আসল নকল চেক করে আনতে হবে। চশমাটি আসল বা নকল তা টেস্ট করার জন্য আলট্রা ভায়োলেট নিল লাইট এবং কার্ড রয়েছে তাদের কাছে বলে পরিক্ষা করে আনতে হবে। এ বিষয়ে গুগলে এবং ইউটিউবে অনুসন্ধান করলেই আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন।
(২) ২০-২০-২০ পদ্ধতি মেনে ও চোখকে সুরক্ষিত রাখা যায়
আপনি ২০ মিনিট মোবাইলের স্কিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পরে চোখকে রেস্ট দেওয়ার জন্য ২০ মিটার দুরের কোনো সবুজ গাছপালার দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকার পরে আবার পূনরায় মোবাইলের স্কিনে তাকিয়ে থাকতে পারবেন এভাবে করলে চোখকে অনেকটা ক্ষতি থেকে সেইফ রাখা যায়।
২। কানে কম শুনে
যেসকল মোবাইল ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা বলে এবং উচ্চস্তরে গান ও নাটক এবং মুভি দেখে তাদের মধ্যে বেশীরভাগ লোকেরই শ্রবনশক্তি আগের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। একটি ঘবেষনায় দেখা গেছে ১৮-২৫ বছর বয়সী তরুন তরুনীদের শ্রবনশক্তি হ্রাসের হার সবচেয়ে বেশী।
৩। শুক্রাণু কমে যায়
বিজ্ঞানীরা গবেশনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন, মোবাইল থেকে নির্গত হওয়া উচ্চ ফ্রিকোয়েন্সির বলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন শরীরের বিভিন্ন কোষ ও পুরুষের প্রজাতন্ত্রের উপর বিরাট প্রভাব পড়ে। এবং তারা আরো জানিয়েছেন ফোনের ক্ষতিকর তরঙ্গের কারনে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গিয়ে পুরুষের বন্ধাত্বের কারন হতে পারে।
৪। ঘাড় ব্যাথা হয়
যারা মোবাইল গেমার রয়েছেন এবং বিভিন্ন থ্রিডি গেম খেলেন তাদের একটানা অনেক সময় ধরে মোবাইলের দিকে ঝুকে থাকতে হয়। আর এই অস্বাভাবিক বডি পজিজশনের কারনে ঘাড় ব্যাথা জনিত সমস্যা হয়ে থাকে।
৫। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়
একটি গবেষণায় বিজ্ঞানিরা দেখেছেন যে যেসকল লোকজন দীর্ঘসময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তাদের নিজেদের অজান্তেই মেজাজের পরিবর্তন আসে তখন সবার সাথে খারাপ আচরণ করতে দেখা যায়। আপনার নিজের মধ্যে এরকম লক্ষন দেখতে পেলে এর সলিউশন হলো মানুষের মধ্যে থাকুন এবং তাদের সঙ্গে গল্প করুন তাহলেই ঠিক হয়ে যাবে।
৬। হঠাৎ রিংটোন শুনতে পায়
যারা বেশী সময় মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে কাটায় তাদের মস্তিষ্ক অস্থিরতায় ভুগে থাকে এবং সারাদিন নোটিফিকেশন এবং রিংটোন শোনার কারনে যখন ঘুমাতে যায় বা মোবাইল থেকে দূরে থাকে তখন ও মোবাইলের রিংটোন বা নোটিফিকেশন আসার শব্দ শুনতে পায়। এরকম যদি আপনার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তাহলে মোবাইল ব্যাবহার করা কমিয়ে দিন।
৭। নোমোফোবিয়া
নোমোফোবিয়া এটি একটি রোগের নাম, শুনেই হয়তো মোবাইল ইউজাররা ঘাবড়ে যেতে পারেন আসলে তেমন গুরুতর কোনো সমস্যা নয়। এই রোগ সাধারণত তাদের হয় যারা অনেক বেশী সময় মোবাইলের পেছনে ব্যায় করে থাকে। তারা যখনই মোবাইল ফোন চোখের সামনে থেকে দূরে রাখে তখনই তাদের মনে হয়
৮। চিন্তা শক্তি কমে যায়
দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইলে মনোযোগ দিয়ে গেম খেলা বা সোস্যাল মিডিয়ায় থাকার কারনে তাৎক্ষণিক চিন্তা শক্তি হ্রাস পেতে পারে, এতে জটিল কোনো সমস্যা হয়না।
৯। অস্থি সন্ধিগুলোর ক্ষতি হয়ে থাকে
আমরা যারা ব্লগার এবং ইউটিউবার এবং ফেসবুকার তাদের কন্টেন্ট ক্রিয়েট করার জন্য অনেক বড় লম্বা পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা মোবাইল দিয়ে টাইপিং করে লিখার প্রয়োজন হয় আর এতে হাতের আঙুলের অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট গুলো ব্যাথা হয়ে ক্ষতি হয়ে থাকে। এছাড়াও যারা মেসেন্জারে চ্যাটিং করে তাদের ও অস্থি সন্ধিগুলোর ক্ষতি হয়ে থাকে।
১০। পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি হয়ে পড়ে
ডিজিটাল এই যুগে যার মস্তিষ্কে কোনোরকম খারাপ অস্লীল ভিডিওর কথা মাথায়ই নেই, সে ও ইন্টারনেটের এ্যাডভার্টাইজমেন্টের সুবাদে তার অজান্তেই রঙিন সেই পিকচার ও ভিডিও ভেসে উঠে এবং ক্লিক করতে বলা হয় এভাবেই সে ও খোজ পেয়ে যায়। এবং পরিনাম খুবই ভয়াবহ একবার এই রাস্তায় পা দিলে আর বেরুনো সম্ভব নয় বললেই চলে।
পোস্ট টি পড়ে উপকৃত হলে আমাদের এই সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করার দাওয়াত রইলো।
0 Comments
Please don't leave bad comments